আখের রস কখন খাওয়া উচিত

আখের রস কখন খাওয়া উচিত এটা কম বেশি আমাদের সবার জানা আছে। কিন্তু আখের রস আমরা কেন খাই বা কোন কোন কারণে খায় এই কথা আমাদের কারো জানা নেই। আসুন প্রিয় বন্ধুরা আজ আপনাদের কাছে আখের রস কখন খাওয়া উচিত এবং কেন খায় সেই সম্পর্কের বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।

আখের-রস-কখন-খাওয়া-উচিত


এছাড়া আখের রস খেলে আমাদের কোন কোন অসুখ দূর হয়।এবং গর্ব অবস্থায় আখের রস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে। আরো আলোচনা করা হবে আখের রসে কোন কোন ভিটামিন এবং ক্যালরি রয়েছে সে সম্পর্কে।

আরো পড়ুন:খালি পেটে কালিজিরা খাওয়ার উপকারিতা

পেজ সূচিপত্রঃ

খালি পেটে আখের রস খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে আকার রস খাওয়ার কয়েকটি বিশেষ গুণ রয়েছে। সাধারণত আমরা খালি পেটে আখের রস খেয়ে থাকি ,কারণ গরম কালে আখের রস খেলে আমাদের শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও আখের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। এছাড়াও আখের রসে আরও আছে আয়রনে ভরপুর।

যা আমাদের শরীর সতস করতে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে মুক্তি করতে সাহায্য করে থাকে। একজন ব্যক্তি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আখের রস খেতে পারে তাহলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এবং তার শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে থাকে। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে আখের রস খেতে পারেন তাহলে কয়েকটি উপকার পাবেন।

প্রতিদিন সকালে আখের রস খাওয়ার উপকারিতা গুলো হলো। ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করে। হাড় মজবুত করে। আমাদের শরীরে খনিজের ঘাটতি পূরণ করে। আমাদের দাঁতের ক্ষয় দূর করে। আমাদের শরীর সুস্থ রাখে। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে ইত্যাদি।

আখের রস কখন খাওয়া উচিত

কোন সময় আখের রস খাওয়া উচিত এই বিষয়টা সম্পর্কে আমরা বিস্তারিতভাবে আপনাদের কাছে আলোচনা করব। কারণ আখের রসের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন সি। যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। সাধারণত আখের রস তীব্র গরমে খাওয়া উচিত। এই সময় আখের রস খেলে আমাদের শরীর ঠান্ডা করতে রাখতে সাহায্য করে ,এবং আমাদের শরীরের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে থাকে।

আখের রসে থাকা পুষ্টি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। সাধারণত বাহিরে এখন 40 ডিগ্রী পর্যন্ত সেলসিয়াস হয়েছে। এই তীব্র গরমে আখের রস খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এছাড়াও আখের রস খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।

তাই বলা যেতে পারে সাধারণত গ্রীষ্মকালের শুরু থেকে আখের রস বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত। আপনি সাধারণত সারা বছর আখের রস খেতে পারেন কোন সমস্যা নাই। তবে গরমের শুরুর দিকে আখের রস খেলে আপনার শরীর ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে থাকে এবং শরীরের খনিজের ঘাটতি পূরণ করে থাকে।

আখের রস খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি?

যারা প্রতিনিয়ত আখের রস খেয়ে থাকেন বা খেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি লেখা হয়েছে। আখের রস খেলে আমাদের শরীরের জন্য কি কি উপকার হয় ।এবং কোন কোন ঘাটতি পূরণ করে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো। আখের রসের উপকারিতা গুলো কি?

  • আমাদের শরীরের প্রাথমিক উৎস হলো চিনি এবং গ্লুকোজ। আখের রস আমাদের শরীরে চিনি এবং গ্লুকোজের চাহিদা দুটি পূরণ করে থাকে।
  • গরমকালে ক্রান্তি দূর করার জন্য আখের রস খাওয়া উচিত। কারণ আখের রসে আমাদের শরীরের ডিহাইড্রেশন রোধ করে।
  • আখের রস আমাদের লিভারের জন্য খুবই উপকারী। আখের রস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের জন্ডিসের মতো বড় ধরনের রোগ সারাতে সাহায্য করে থাকে।
  • আখের রস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের জীবাণু পদার্থগুলো বের করতে সাহায্য করে থাকে।
  • আখের রস খাবার মাধ্যমে আমাদের ত্বক সুন্দর করতে এবং শরীর ঠিক রাখতে সাহায্য করে থাকে।
  • আখের রস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের ক্যান্সারের মতো বড় ধরনের অসুখ নিয়ন্ত্রণে আসতে সাহায্য করে থাকে।
  • আখের রস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে এবং শরীর ফিট রাখতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় আখের রস খাওয়ার উপকারিতা

আখের রস কখন খাওয়া উচিত এবং গর্ব অবস্থায় আখের রস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের কারোই জানা নেই। তাই আসুন জেনে নেওয়া যাক গর্ব অবস্থায় আখের রস খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলোঃ

  • গর্ভাবস্থায় আখের রস খেলে অসুস্থতা দূর করতে সাহায্য করে।
  • সকালে অসুস্থতা কাটানোর জন্য আপনি আখের রসের সাথে কয়েক ফোঁটা আদার রস যোগ করে খেতে পারেন।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আখের রস আপনার জন্য খুবই উপকারী। 
  • এছাড়া আপনার পেটে বিভিন্ন সমস্যার সংক্রমনের জন্য আখের রসের উপকারিতা রয়েছে।
  • সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে আখের রস।
  • গর্ব অবস্থায় আখের রস আমাদের শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে এবং নানান ধরনের সংক্রমনের হাত থেকে মুক্তি দেয়।
  • আমাদের দাঁত ভালো রাখতে সাহায্য করে।
  • গর্ভকালীন তাদের সমস্যা টি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এ সময় আখের রস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের দাঁতের সমস্যাটি সমাধান করা সম্ভব হয়।
উপরে গর্ব অবস্থায় আখের রস খাওয়ার উপকারিতা গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় আখের রস খেলে আমাদের কি কি উপকার হতে পারে সেই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

গর্ব অবস্থায় আখের রস খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় আখের রস খাওয়া যাবে কি এটা নিয়ে আমাদের অনেক মতভেদ রয়েছে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আখের রস খাওয়া মাধ্যমে আমাদের শরীরের ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, হাইবার ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার মত ক্ষমতা রাখে আখের রসে।

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রীষ্মকালে আমরা বেশিরভাগ আখের রস খেয়ে থাকি। তবে গর্ভবতীকালীন অবস্থায় আখের রস খাওয়া যাবে। এতে করে গর্ভবতী মায়ের শরীরের আয়রন, ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে এবং ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে থাকে। তাই গর্ব অবস্থায় আখের রস খাওয়া যাবে। এতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না।

সাধারণত আমরা আখের রস শীত গরম দুই সময় খেয়ে থাকে। আখের রস আমাদের শরীরের ক্লান্তি দূরের সাথে সাথে চিনির ঘাটতি পূরণ করে থাকে এবং গ্লুকোজেরও কাজ করে থাকে। তাই সারা বছর আখের রস খেলে আপনার শরীরের কোন সমস্যা হবে না। বরংচ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।

আখের রসে কোন কোন ভিটামিন আছে

আমরা যে প্রতিনিয়ত আখের রস খেয়ে থাকি। এবং আখের রসে কোন কোন ভিটামিন আছে সে সম্পর্কে আমাদের কারো ধারণা নেই। তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদেরকে আখের রসের কোন কোন ভিটামিন আছে এবং কি পরিমানে আছে তা সম্পর্কে বিস্তারিত হবে আলোচনা করব।

আখের রসের যেগুলো ভিটামিন আছে


ভিটামিনঃ পরিমানঃ মিলিগ্রামঃ
আইরন ১.১২ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ১৩.০ মিলিগ্রাম
ফসফরাস ২২.০৮ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম ১.১৬ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ১৫০ মিলিগ্রাম
চিনি ১২,৮৫ গ্রাম
প্রোটিন ০.১৬ মিলিগ্রাম
ফাইবার ০.৫৬ মিলিগ্রাম
ক্যালরি ২৪২ মিলিগ্রাম

আখের রস কোন সিজনে খাওয়া উচিত

আখের অসাধারণ তো গরম কালে খাওয়াটা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কারণ গরমকালে আমাদের শরীর ক্লান্ত হয় বেশি পরিমাণে। এই সময় আমাদের শরীরে নানান ধরনের পুষ্টির চাহিদা এবং ঘাটতি পূরণ করে থাকে আখের রস। এছাড়াও গরম কালে আখের রসে থাকা ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, হাইবার, প্রোটিন ও চিনি আমাদের শরীরের সকল ঘাটতি পূরণ করে থাকে।

এছাড়াও গরমকালের তুলনায় শীতকালেও আপনি আখের রস খেতে পারেন। আপনি সারা বছর আখের রস খেলে আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আখের রস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। এবং বড় ধরনের অসুখ যেমন ধরেন ক্যান্সার, আলসার, ডায়াবেটিস, হিমোগ্লমিন, জন্ডিস ইত্যাদি বড় ধরনের রোগ সারাতে সাহায্য করে থাকে।

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শীতকালে তুলনায় আপনি গরম কালে বেশি পরিমাণে আখের রস খেতে পারেন। আখের রস বেশি পরিমাণে খেলে আমাদের শরীরে গ্লুকোজের এবং চিনির ঘাটতি পূরণ করে থাকে। যা আমাদের শরীরে ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে থাকে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ধন্যবাদ।

আখের রস দিয়ে কি কি তৈরি হয়

কমবেশি আমরা সবাই আখের রস খেয়েস থাকি। কিন্তু আমাদের কারো জানা নেই আখির রস দিয়ে কি কি জিনিস তৈরি হতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক আখের রস দিয়ে তৈরিকৃত কিছু জিনিস যা আমাদের পারিবারিক সামাজিক এবং প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকি। আসুন জেনে নেওয়া যাক আখের রস দিয়ে কি কি তৈরি হয়।

আখের রস দিয়ে সাধারণত মজাদার কিছু খাদ্য তৈরি করা হয়। যা আমরা প্রতিদিন বা প্রতি সিজনে ব্যবহার করে থাকে বা খেয়ে থাকি। আখের রস দিয়ে নামান ধরনের পিঠা তৈরি করা যায়। যেমন ধরেন: রস পিঠা এই পিঠা আমার খুব মজাদার একটি পিঠা। এছাড়াও আখের রস দিয়ে তৈরি করা হয় আখের গুড়। যা আমরা নানান ধরনের ব্যবহার করে থাকি।

প্রায় সব পিটাতে আখের গুড় ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও আগ দিয়ে তৈরি করা হয় চিনি আমাদের যাবতীয় সকল চাহিদা পূরণ করে থাকে।যেমন ধরেন চিনি দিয়ে তৈরি করা হয় মিষ্টি, রসমালাই, বালিশ মিষ্টি, চমচম ইত্যাদিরা নানান প্রজাতির মিষ্টি তৈরি করা হয়। এছাড়া প্রত্যেকটি পিঠায় গুড় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর গুড় তৈরি করা হয় আখের রস দিয়ে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

একজন ব্যক্তিকে প্রতিদিন কতটুকু আখের রস খাওয়া উচিত

আখের রস খাওয়া উচিত কিনা সে সম্পর্কে আমরা উপরে আলোচনা করেছি. কিন্তু আমরা জানি না যে একজন ব্যক্তিকে প্রতিদিন কতটুকু আখের রস খাওয়া উচিত. বর্তমান সময়ে একজন ব্যক্তির প্রায় দুই থেকে তিন গ্লাস আখের রস খেতে পারে প্রতিদিন. কিন্তু ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম আখের রস খাওয়া উচিত প্রতিদিন।

একজন ব্যক্তি যদি নিয়ম করে প্রতিদিন এক থেকে দুই গ্লাস আখের রস খেতে পারে তাহলে তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হবে ,এবং নানান ধরনের সমস্যা থেকে সমাধান মিলতে পারে। আখের রস আমাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে আয়রনের চাহিদা পূরণ করে এছাড়া অন্যান্য ধরনের ফাইবার ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস ইত্যাদি পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে থাকে।

প্রতিদিন করে একজন ব্যক্তি ৩০০ থেকে ৪০০ মিলি গ্রাম আখের রস খেতে পারবে। এতে তার শরীরের চীনের অভাব পূরণ হবে এবং গ্লুকোজের কাজ করে থাকবে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে সবাই ক্লান্তি দূর করার জন্য আখের রস বেশি বেশি করে খেয়ে থাকবে। আখের রস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের রোদের তাপ থেকে মুক্ত থাকা যায়।

আখের রসের উপকারী দিকগুলো 

আখের রস খেলে আমাদের শরীরে এনার্জি বৃদ্ধি পায় এবং আমাদের শারীরিক ক্লান্তি দূর করে থাকে। এছাড়াও আখের রসে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, নানান ধরনের খনিজের উৎস। আর আখের রস কখন খাওয়া উচিত কিনা সে সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। এখন আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে আখের রসের উপকারের দিকগুলো সম্পর্কে।

  • ওজন কমাতে সহায়কঃ ওজন কমানোর জন্য আখের রস হতে পারে আপনার ভালো একটি উৎস। কারণ আখের রস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে গ্লুকোজের চাহিদা পূরণ করে এবং আমাদের শরীরের চিনির ঘাটতিটা পূরণ করে থাকে।
  • হৃদরোগ প্রতিরোধ করেঃ হৃদরোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত আখের রস খাওয়াটা আমাদের জন্য জরুরী। কারণ আখের রস রয়েছে ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের হৃদরোগের জন্য খুবই উপকারী।
  • হজম শক্তির উন্নতি ঘটায়ঃ হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। কারণে আখের রসে আছে ফাইবার যা আমাদের শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • সুগারের মাত্রা ঠিক রাখেঃ আখের রস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। কারন আখের রসের সেই পরিমাণে মিষ্টি থাকে না। আর আখের রস খাওয়াটা স্বাস্থ্যকর।
  • কিডনি ভালো রাখতেঃ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হয় কিডনির জন্য। আখের রস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত পানির চাহিদা পূরণ করে এবং সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ আখের রস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং বড় বড় রোগ সারাতে সাহায্য করে থাকে।
  • দাঁতের যত্নেঃ বিশেষ করে গর্ব অবস্থায় মেয়েদের বেশি পরিমাণে দাঁতের সমস্যা দেখা দেয়। এই সময় আখের রস খাওয়াটা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য জরুরী। এতে করে তাদের দাঁতে কোন সমস্যা দেখা দেয় না।
  • ত্বকের যত্নেঃ আখের রস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের চুল এবং ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে।
  • হাড়ের মজবুতিতেঃ আখের রস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের হাড় বেশি মজবুত করে থাকে। কারণ আখের রস আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি, যা আমাদের হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য আখের রস হতে পারে খুবই ভালো একটি উপাদান। কারণ আখের রসে সেই পরিমাণে চিনি থাকে না।
  • লিভার ভালো রাখেঃ বর্তমান সময় লিভারের সমস্যা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়মিত আখের রস খাওয়ার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায় সীমিত আকারে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে পালায়ঃ গর্ব অবস্থায় মহিলাদের কোষ্ঠকাঠিন্যতা বেশি দেখা দিয়ে থাকে। এই সময় তাদেরকে বেশি বেশি পরিমাণে আখের রস খাওয়া জরুরী। তাহলে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যত দূর হয়।

উপসংহারঃ

পরিশেষে বলা যায় যে , আখের রস কখন খাওয়া উচিত এবং আখের রস খাওয়ার উপকারিতা গুলো বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও আখের রসিক কি পরিমাণে ভিটামিন আছে এবং কি আখের রস খেলে আমাদের কি কি উপকার হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হইল।

আখের রস দিয়ে কি কি তৈরি হয়। এবং আখের রস খাওয়ার উপকারিতা গুলো ভালোভাবে তুলে ধরা হলো। একজন ব্যক্তিকে প্রতিদিন কি পরিমাণে আখের রস খাওয়া উচিত সেটি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া আখের রসে কি কি পরিমাণে বিশেষ গুণ রয়েছে সেগুলো উপস্থাপন করা হলো।

সব কথা শেষে বলা যায় যে আমাদের শরীরে এনার্জি এবং শারীরিক ক্লান্তির জন্য প্রতিদিন এক থেকে দুই গ্লাস আখের রস খাওয়া উচিত। কারণ আখের রস আছে ভিটামিন সি, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও খনিজের উৎস। তাই আমাদেরকে নিয়ম অনুযায়ী এক গ্লাস হলেও আখের রস খাওয়া উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url